সুনামগঞ্জ , বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ , ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আজ সশস্ত্র বাহিনী দিবস পলাশ ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল আহমদ কারাগারে মুজিববর্ষ উদযাপনে খরচ ১২৬১ কোটি টাকা পুলিশের নতুন আইজিপি বাহারুল আলম লাখে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয় শিক্ষা কর্মকর্তাকে জামালগঞ্জে অগ্নিকান্ডে দুটি বসতঘর পুড়ে ছাই ধর্মপাশায় আসামি গ্রেফতার শহরে ফুটপাত দখল করে দোকানপাট: যানজটে জনভোগান্তি পিকনিক স্পটে দুর্বৃত্তদের হামলা ও ভাঙচুর ৭০ লাখ টাকার চোরাই পণ্য জব্দ তুমি যে চেয়ে আছ আকাশ ভরে আ.লীগের সঙ্গে কোনো সমঝোতা নেই : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জামালগঞ্জে এক পরিবারের ৩ বসতঘর পুড়ে ছাই ব্যাংকের সব শাখায় ১, ২ ও ৫ টাকার কয়েন লেনদেনের নির্দেশ সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ৮ দিনের রিমান্ডে সারদায় প্রশিক্ষণরত আরও তিন এসআইকে অব্যাহতি আ.লীগের পুনর্বাসনে চেষ্টাকারীরা গণশত্রু হিসেবে চিহ্নিত হবে : হাসনাত আবদুল্লাহ খেলাপি আদায়ে অর্থ ঋণ আদালতকে সক্রিয় করছে সরকার সংস্কার শেষে নির্বাচন কোনো যৌক্তিক কথা নয় : মঈন খান ফোকাস এখন একটাই- নির্বাচন : মির্জা ফখরুল

শান্তিগঞ্জে যাত্রীছাউনির অভাবে মানুষের ভোগান্তি

  • আপলোড সময় : ১৫-১০-২০২৪ ০১:৩৩:৩৭ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৫-১০-২০২৪ ০১:৩৩:৩৭ পূর্বাহ্ন
শান্তিগঞ্জে যাত্রীছাউনির অভাবে মানুষের ভোগান্তি
শান্তিগঞ্জ প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের শান্তিগঞ্জ উপজেলা সদরে নেই কোনো যাত্রীছাউনি। এর ফলে প্রতিদিন দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে কিংবা তীব্র শীতে বাতাসের মধ্যে খোলা জায়গায় দাড়িয়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে শান্তিগঞ্জ পয়েন্টে একটি যাত্রীছাউনি নির্মাণের দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। সরেজমিনে দেখা গেছে, শান্তিগঞ্জ পয়েন্টে মানুষজন গন্তব্যে পৌছতে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করেন। কেউ সুনামগঞ্জ শহরের দিকে আবার কেউ সিলেট বিভাগীয় শহরের দিকে নিজ নিজ কাজের জন্য যাতায়াত করেন। শান্তিগঞ্জ পয়েন্টের আশপাশে যাত্রী সাধারণের কোন অবস্থান করার জায়গা নেই। যাত্রীরা রাস্তার পাশে এখানে-সেখানে দাড়িয়ে অপেক্ষা করেন। বৃষ্টি হলে যাত্রীদের ভোগান্তির শেষ নেই। অনেক সময় যাত্রীরা বৃষ্টির পানিতে ভিজে একাকার হয়ে যান। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিলেট সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কটি শান্তিগঞ্জ উপজেলার দিয়ে চলে গেছে। যার ফলে শান্তিগঞ্জ উপজেলা সদরের শান্তিগঞ্জ পয়েন্ট থেকে উপজেলার অধিকাংশ গ্রামের লোকজন সিলেট-ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে গ্রামের মানুষ এখান দিয়ে যাতায়াত করেন। যাত্রীছাউনি না থাকায় দুর্ভোগ হচ্ছে এসব এলাকার কয়েক হাজার মানুষের। শান্তিগঞ্জ পয়েন্টের বাস কাউন্টার মালিক আব্দুল ওয়াকিব ভান্ডারী বলেন, শান্তিগঞ্জ পয়েন্টে আগে একটি যাত্রীছাউনি ছিল। রাস্তা বড় করায় ছাউনিটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। এখন আর যাত্রীছাউনি নাই। এখন সিলেট ও ঢাকার যাত্রীরা রোধে পুড়ে ও বৃষ্টিতে ভিজে পয়েন্টে অবস্থান করেন। এখানে যাত্রীছাউনি না থাকায় প্রতিদিন শত শত নারী-পুরুষ ও শিশু-কিশোরদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। শান্তিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক স¤পাদক হোসাইন আহমদ জানান, শান্তিগঞ্জ পয়েন্টে আগে একটি যাত্রীছাউনি ছিল। রাস্তা সম্প্রসারণ করার কারণে ছাউনিটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। যাত্রীছাউনি না থাকায় মানুষজনকে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়তে হয়। শান্তিগঞ্জ পয়েন্টে যাত্রীছাউনি নির্মাণের জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি। শান্তিগঞ্জ বাজার কমিটির সভাপতি রিপন তালুকদার বলেন, শান্তিগঞ্জ বাজারটি উপজেলা সদরের বাজার। এখানে আগে যাত্রীছাউনি ছিল। এখন আর নাই। আশাকরি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ একটি যাত্রীছাউনি নির্মাণ করে উপজেলাবাসীর ভোগান্তি লাঘব করবেন। শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুকান্ত সাহা বলেন, শান্তিগঞ্জ পয়েন্টে একটি যাত্রীছাউনি প্রয়োজন। প্রতিদিন উপজেলার অধিকাংশ লোকজন এ পয়েন্ট দিয়ে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত করে থাকেন। বিষয়টি আমার নজরে আছে। শীঘ্রই জেলা প্রশাসক স্যারের সাথে আলোচনা করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স